Uncategorized

ঢাকা-কক্সবাজার পথে পর্যটক এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকা-কক্সবাজার পথে নতুন ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ বুধবার সকালে। ১০ জানুয়ারি এই ট্রেন চলাচল শুরু করবে।

এর আগে চালু হওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট অনলাইনে মুহূর্তে বিক্রি হয়ে গেলেও নতুন ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে তা হয়নি। আজ সন্ধ্যায়ও পর্যটক এক্সপ্রেসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে গত সোমবার ঢাকা-কক্সবাজার পথে নতুন এক জোড়া ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন মঙ্গলবার পর্যটক এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। নতুন ট্রেনটিতে ৭৮৫টি টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি আসন চট্টগ্রাম স্টেশনের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, পর্যটক এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে সকাল সোয়া ছয়টায়। এই ট্রেন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। এই স্টেশনে ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। এরপর কক্সবাজারে পৌঁছাবে বেলা তিনটায়। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেন ছাড়বে রাত আটটায়। চট্টগ্রাম স্টেশনে আসবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর সাড়ে চারটায়। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রোববার এই ট্রেন চলাচল করবে না।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসে স্নিগ্ধা আসন ছিল ৫৭টি এবং শোভন চেয়ার ছিল ১৭২টি। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে স্নিগ্ধা আসন অবিক্রীত ছিল ১৯৯টি এবং শোভন চেয়ার ৩৮৮টি। তবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কোনো আসন অবিক্রীত ছিল না।

ঢাকা-কক্সবাজার পথে গত ১ ডিসেম্বর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঢাকা-কক্সবাজার পথে এখন এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে। টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাড়তি চাহিদার কারণে টিকিট কালোবাজারি হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কক্সবাজারগামী ট্রেনের টিকিটের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারগামী ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের প্রচুর চাহিদা ছিল। চাহিদার তুলনায় টিকিট ছিল কম। দ্রুত টিকিট বিক্রি হওয়াতে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল কালোবাজারি হচ্ছে কি না। কিছু লোক যে এটা করেননি, তা নয়। তবে রেলওয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে নিজ নিজ টিকিট দিয়ে যেন যাত্রীরা ভ্রমণ করেন। আর এখন অবশ্য নতুন ট্রেনের টিকিট সন্ধ্যায়ও পাওয়া যাচ্ছে।

কোরিয়া থেকে সদ্য আমদানি করা কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে। নতুন ট্রেনের ভাড়া হবে আগের ট্রেনটির সমান। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এই পথে আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ারের ভাড়া ৯৬১ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে ভাড়া দিতে হয় ১ হাজার ৭২৫ টাকা।

One Comment

  1. it is looking excellent, but difficult for foreign nationals to buy tickets. it should be made easier for foreign nationals. for tourists it should easier to book a ticket

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button